প্রাথমিক তথ্য
বীজতলায় বা জমিতে অনেক সময় বীজ বপন করার পর কিছু বীজ গজায় না। অনেক সময় চারা রোপণ করার পর ঢলে পড়ে ও পরে মারা যায়। বীজতলা বা জমির মাটিতে অসংখ্য জীবাণু থাকে। এসব জীবাণুর মধ্যে কিছু আছে উপকারী, আবার কিছু আছে ক্ষতিকর। ক্ষতিকর জীবাণুর মধ্যে হলো- ফিউজিরিয়াম, রাইজোকটনিয়া, পিথিয়াম, সারকোসপোরা ইত্যাদি। মাটিতে নানা ধরনের কীট পতঙ্গ থাকে। যেমনঃ ইউপোকা, পিঁপড়া, কাটুই পোকা, মোল্ড ও ফিল্ড ক্রিকেট ইত্যাদি। এগুলো দমন না করা হলে এরা ফসলের ভীষণ ক্ষতি করে থাকে। এদের বসবাস মাটিতে। তাই মাটি শোধন করা হলে এগুলো অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১। লোহার কড়াই, ২। হাতা ৩। চুলা ও লাকড়ি, ৪। খড়কুটা, ৫। দিয়াশলাই, ৬। ক্লোরিপিক্রিন, ফরমালডিহাইড, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি, ৭। পলিথিন শিট, ৮। ইনজেক্টর ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
১. বড় লোহার কড়াই সংগ্রহ করতে হবে।
২. কড়াইতে মাটি দিয়ে ওলটপালট করার হাতা নিতে হবে ।
৩. মাটি জ্বাল দেয়ার জন্য চুলা, লাকড়ি নিতে হবে।
৪. জমির উপর দিয়ে বিছায়ে দেয়ার জন্য খড়কুটা বিচালি নিতে হবে।
৫. রাসায়নিক পদার্থ ফরমালডিহাইড, ক্লোরািেপক্রিন, মিথাইল (ব্রোমাইড, ভ্যাপাম ইত্যাদি) কাঁচের পাত্রে করে নিতে হবে ।
৬. রাসায়নিক পদার্থ- মাটিতে দেয়ায় প্রবেশের জন্য ইনজেক্টর নিতে হবে।
৭. রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগের পর মাটি ঢেকে রাখার জন্য পলিথিন শিট নিতে হবে।
৮. খড়কুটা/বিচালি জ্বালানারে জন্য দিয়াশলাই নিতে হবে।
এসব উপকরণ সংগ্রহ করে প্রত্যেকটির বৈশিষ্ট্য, রঙ, ভৌত অবস্থা ইত্যাদি খাতায় লিখতে হবে।